Class 9 Bengali Part 6 Model Task Question & Answers(September, 2021):
Class 9 Bengali Part 6 Model Task Question;
১. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো ঃ
১.১ ‘বর্তমান যুগের ইংরেজি ও বাংলা আত্মনির্ভরশীল নয়।’ – প্রাবন্ধিক কোন্ অর্থে ‘আত্মনির্ভরশীল’ শব্দের প্রয়োগ ঘটিয়েছেন? বর্তমান যুগের ইংরেজি ও বাংলাকে কেন তিনি আত্মনির্ভরশীল মনে করেননি?
১.২ ‘আমি এই ঘাসে বসে থাকি’ – কোন্ সময়ে কবি ঘাসে বসে থাকেন? তখন প্রকৃতির কেমন রূপ তাঁর চোখে ধরা পড়ে?
১.৩ ‘কিন্তু বিঘ্নও আছে বহু।’ – পত্রলেখক স্বামী বিবেকানন্দ ভগিনী নিবেদিতাকে কীরূপ বিঘ্নের কথা জানিয়েছেন?
১.৪ ‘নটেগাছটা বুড়িয়ে ওঠে, কিন্তু মুড়ায় না।’ – উদ্ধৃতাংশে নটেগাছের প্রসঙ্গ উন্থাপনে ‘আবহমান’ কবিতায় ‘রূপকথা’র আবেশ কীভাবে রচিত হয়েছে, বিশ্লেষণ করো।
১.৫ ‘… আর আহারের সংস্থান রহিল না।’ – রাধারাধী ও তার মায়ের দুর্গতির চিত্র ‘রাধারাণী’ পাঠ্যাংশে কীভাবে চিত্রিত হয়েছে, তা উদ্ধৃতাংশের আলোকে আলোচনা করো।
১.৬ ‘কভার্স যে এখন সাধারণ কাকের থেকে নিজেকে আলাদা রাখতে চায়, তার স্পষ্ট প্রমাণ আজকে পেলাম।’ – প্রোফেসর শঙ্কু কীভাবে সেই প্রমাণ পেয়েছেন?
২. নীচের ব্যাকরণগত প্রশ্নগুলির উত্তর দাও ঃ
২.১ মৌলিক শব্দ বলতে কী বোঝ?
২.২ নবগঠিত শব্দকে কয়টি শ্রেণিতে ভাগ করা যায় এবং কী কী?
২.৩ তদ্ভব শব্দের দুটি উদাহরণ দাও।
২.৪ ‘দেশি শব্দ’ কে ‘অজ্ঞাতমূল শব্দ’ বলা হয় কেন?
২.৫ তুর্কি এবং ওলন্দাজ শব্দভান্ডার থেকে বাংলায় গৃহীত হয়েছে এমন দুটি করে শব্দের উদাহরণ দাও।
২.৬ তামিল শব্দভান্ডার থেকে বাংলায় এসেছে এমন দুটি শব্দ লেখো।
২.৭ নির্দেশ অনুযায়ী মিশ্র বা সংকর শব্দ তৈরি করো ঃ
ইংরেজি + বাংলা
পোর্তুগিজ + হিন্দি
তৎসম শব্দ + বিদেশি প্রত্যয়
২.৮ ইংরেজি থেকে অনুবাদের মাধ্যমে বাংলায় গৃহীত হয়েছে এমন দুটি শব্দ উল্লেখ করো।
২.৯ যোগরূঢ় শব্দের দুটি উদাহরন দাও।
২.১০ গুণবাচক বিশেষ্যযোগ একটি বাক্য রচনা করো।
২.১১ ক্রিয়াবিশেষণের দুটি গঠনরীতি নির্দেশ করো।
২.১২ কাছের ব্যক্তি বা বস্তুকে নির্দেশ করতে কোন্ সর্বনাম পদ ব্যবহৃত হয়?
২.১৩ একটি তৎসম অব্যয় এবং একটি খাঁটি বাংলা অব্যয়ের উদাহরণ দাও।
২.১৪ ধাতুর গঠন অনুযায়ী ক্রিয়াপদ কত ধরনের হয়ে থাকে?
Class 9 Bengali Part 6 Model Task Answers:
বাংলা নবম শ্রেণী
1/ 1) প্রবন্ধ সৈয়দ মুজতবা আলী তার নব নব সৃষ্টি প্রবন্ধে বোঝাতে চেয়েছেন যে ভাষা যখন নিজের যাবতীয় প্রয়োজন নিজের শব্দ ভান্ডার এর সাহায্যে মিটিয়ে নিতে পারে তখন সেই হয়ে ওঠে স্বয়ংসম্পূর্ণ বা আত্মনির্ভরশীল।
প্রাবন্ধিক তার সঠিক বিশ্লেষণে বাংলাভাষাকে পরনির্ভরশীল ভাষা বলে চিহ্নিত করেছেন। পৃথিবীর যেকোনো ভাষায সজীব ও প্রাণবন্ত। বাংলা ভাষার চাহিদা মেটাতে বাংলা শব্দভাণ্ডার সক্ষম নয় ফলে তাকে প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে বিদেশি শব্দ থেকে শব্দ ঋণ করতে হয়। নিজের চাহিদা নিজে মেটাতে পারেনা বলেই বাংলা ভাষাকে আত্মনির্ভরশীল বলা যায় না।
2) আকাশে সাতটি তারা কবিতার কবি জীবনানন্দ দাশ আকাশে সাতটি তারা ফুটে উঠলে ঘাসের উপর উঠে বসে থাকেন।
সন্ধ্যার সূচনায় গঙ্গা সাগরের ঢেউয়ে অস্তমিত সূর্যের আলোয় ভাসমান মেঘ কামরাঙ্গার মত লাল বর্ণ ধারণ করে। কবির তা দেখে প্রাণচঞ্চল মুনিয়া পাখির মৃতদেহের কথা মনে পড়ে।রোজ কার মতো শান্ত অনুগত ভাবে সন্ধ্যা নামে কেশবতী কন্যা ঘন চুলের মতো অন্ধকার কবির চোখে মুখে আসে বাংলার নিসর্গ প্রকৃতিতে মায়াময় সন্ধ্যা নামার সময় রচনা করে রূপকথার জগৎ।
3) স্বামী বিবেকানন্দ ভারতবর্ষের নারী কল্যাণের জন্য মিস নোবেল কে আমন্ত্রণ জানিয়ে তাঁর কাজের ফলে সৃষ্ট নানা বিঘ্ন উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন এদেশের মানুষের মানসিকতা আর্থসামাজিক প্রতিকূলতা, প্রাকৃতিক প্রতিকূলতা এবং সর্বোপরি শ্বেতাঙ্গ মানুষদের সন্দেহ মিস নোবলর পথে বাধা হয়ে উঠবে ।এ দেশের মানুষদের জাতীও স্পর্শ সম্পর্কে যে বিকট ধারণা ও শ্বেতাঙ্গদের ব্যবহারে তাদের প্রতি ঘৃণা পোষণ করে তার সঙ্গে মানিয়ে চলা অসম্ভব মনে হতে পারে। আবার শ্বেতাঙ্গদের শাসকরা এই কাজকে নোবেলের খামখেয়ালিপনা মনে করতে পারেন এই সমস্ত বাধা বিঘ্নের কথায় বিবেকানন্দ তার চিঠিতে ব্যক্ত করেছেন।
4) কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর লেখা আবহমান কবিতায় কবি গ্রামজীবনের বঙ্গ প্রকৃতির নিসর্গ-সৌন্দর্য সজীব উপাদান গুলি না ফুরানোর কথা বলেছেন।
সূর্যের যাওয়া-আসা, নদীর বয়ে চলার মত মানুষের সুখ-দুঃখ আনন্দ-বেদনা উন্মাদনা পুরনো হয় না। তাই স্বদেশে ফিরে আসার ইচ্ছে বাঙালির অটুট থাকে কবর অনুভূতিতে ধরা পড়ে এক আশ্চর্য সত্য জন্মভূমিতে ফিরে আসার ও গ্রাম জীবনে ফিরে আসার গল্প মানুষের ফুরায় না। রূপকথার গল্পে গল্প কথা ফুরালে তবে নটে গাছটা ফুরিয়ে যায়। আলোচ্য কবিতায় আবহমানকাল ধরে মানুষের ঘরে ফেরার যে গল্প কবি শোনান তা ফুরায়না। তাই নটে গাছটি না মুড়িয়ে বুড়িয়ে ওঠে।
5) লেখক বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা রাধারানী পাঠ্যাংশেছ দেখা যায় একটি সম্পূর্ণ অবস্থাপন্ন ঘরের সন্তান রাধারানী পিতার মৃত্যুর পর অবস্থার দুর্বিপাকে অত্যন্ত দারিদ্র্যে সম্মুখীন হয়ে সুবিচার পাওয়ার আশায় রাধারানীর মা তার সঞ্চিত অর্থ ও গয়না বিক্রি অর্থ দিয়ে প্রিবি কাউন্সিলে আপিল করেন কিন্তু তাদের আহার সংস্থানের কোন ব্যবস্থা ছিলনা একটি কুটরে বিধবা মাকে নিয়ে কঠিন শারীরিক পরিশ্রমের দিনযাপন করতে থাকে কিন্তু রথের আগে অত্যন্ত অসুস্থ হওয়ায় রাধারানীর মা কায়িক পরিশ্রম করতে পারেন না ফলে আহার এরকম বন্ধ হয়ে চলতে থাকে উপবাস। এমন অবস্থায় রাধারানী ভেবেছিলো কতগুলি বনফুল তুলে মালা গেঁথে রথের মেলায় বিক্রি করে কিছু টাকা পাওয়া গেলে সে তার মায়ের চিকিৎসা করবে। কিন্তু অর্থের মেলায় রাধারানী কাছ থেকে এ ঘোষণা ব্যক্তি মালার দাম এর চেয়ে বেশি দাম দিয়ে কিনে নিলে রাধারানী তাকে টাকা ফেরত দেয়। মালা বিক্রি করে তার কাছে যে টাকা থাকে সেই টাকা দিয়ে সে তার মায়ের জন্য পত্র কিনতে সক্ষম হয়েছিল।
6) সত্যজিৎ রায়ের লেখা কর্ভাস গল্পে প্রফেসর শঙ্কু তার অরনিথন যন্ত্র প্রয়োগ করে লক্ষ্য করেছিলেন কর্ভাস অন্য কাকের থেকে আলাদা থাকছে সাধারণত একটা কাকের মৃত্যুতে অনেক কাক হাজির হয়। একদিন দুপুরে বজ্রবিদ্যুৎ বৃষ্টিতে খেয়াল করেন একটা শিমুল গাছ থেকে ধোঁয়া বেরোচ্ছে। এরপর বিকেলে বৃষ্টি থামার পর প্রচণ্ড কোলাহল শুরু হয় তিনি তার চাকর প্রহ্লাদকে বলে খবর আনতে সে এসে জানায় বজ্রাঘাতে একটি কাকের মৃত্যু হয়েছে। এমন ঘটনা যখন বাইরে কোলাহল করছে তখন নিজেকে আলাদা রাখতে কর্ভাস পড়ার ঘরে বসে একমনে লিখেছে প্রাইম নাম্বার-2,3,4,5,7,…..।
2/ 1) যে শব্দকে বিশ্লেষণ করা যায় না তাকে মৌলিক শব্দ বলে। যেমন- মা,-ভাই, হাত ইত্যাদি।
2) নবগঠিত শব্দ কে তিন ভাগে ভাগ করা যায়-
ক) মিশ্র শব্দ খ) অনূদিত শব্দ গ) খন্ডিত শব্দ।
3) তদ্ভব শব্দের দুটি উদাহরণ হল-
অদ্য- অজ্জ- আজ, চন্দ্র- চান্দ- চাঁদ
4) কিছু কিছু দেশি শব্দ গুলির উৎস প্রাচীন উপলব্ধি করা গেলেও তাদের মূল খুঁজে পাওয়া যায় না, তাই তাদের অজ্ঞাত মূল শব্দ বলা হয়। যেমন- কাঁসাই, রিষরা ইত্যাদি।
5) তুর্কি থেকে বাংলা ভাষায় আসা কিছু শব্দ হলো- কাঁচি,কুলি,বোচকা ইত্যাদি।
ওলন্দাজ থেকে বাংলা ভাষায় আসা কিছু শব্দ হলো- হরতন, রুইতন, ইস্কাবন ইত্যাদি।
6) তামিল শব্দভাণ্ডার থেকে বাংলায় আসা কিছু শব্দ- চুরুট, চামড়া, খোকা,খুকু ইত্যাদি।
7) ইংরেজি – বাংলা= লেডি ডাক্তার
পোতুগজ- হিন্দি= গুদাম খানা
তৎসম- বিদেশি প্রত্যয়= দাতাগিরি
8) ইংরেজি থেকে বাংলায় অনূদিত দুটি শব্দ হলো-
Television- দূর দর্শন
Black market- কালোবাজার
9) যোগরূঢ় শব্দের দুটি উদাহরণ হল- পঙ্কজ, রাজপুত, বীণাপাণি।
10) গুণবাচক বিশেষ্য যোগে একটি বাক্য রচনা হলো- তাজমহলের সৌন্দর্য অতুলনীয়।
11) ক্রিয়া বিশেষণ এর দুটি গঠনরীতি হল-
ক) সাধারণত উহা শূন্য বিভক্তি তে থাকে।
খ) অসমাপিকা ক্রিয়া যুক্ত হয়।
12) কাচের ব্যক্তি বা বস্তু কে নির্দেশ করতে সমীপ্য বাচক সর্বনাম পদ ব্যবহৃত হয়। যেমন- এই, ইনি, ইহা ইত্যাদি।
13) তৎসম অব্যয় হল- অথবা, যদা, যদি ইত্যাদি।
খাটি বাংলা অব্যয় হলো- না, অথচ, কাজেই ইত্যাদি।
14) ধাতুর গঠন অনুযায়ী ক্রিয়াপদ চার প্রকার-
ক) সিদ্ধ বা মৌলিক খ) সাধিত গ) সংযোগমূলক ঘ) যৌগিক।
এছাড়া দেখে নাও:
Class 9 Model Activity Task Life Science Part 6 (September- 2021)
Class 9 Model Activity Task History Part 6 (Septmber-2021)
Class 9 Model Activity Task Geography Part 6 (September, 2021)
Thank you