বাংলা রচনাঃ পরিবেশ দূষণ ও প্রতিকার
মানুষ পরিবেশের সর্বশ্রেষ্ঠ অবদান। যেদিন প্রকৃতির বুকে প্রাণ ও প্রাণীর না হল সেদিন বিশ্ব প্রকৃতির এক পরম শুভলগ্ন এল। তারপর থেকে প্রকৃতির পরিবেশের কোলেই লালিত হয়েছে প্রাণিকুল। মানুষ প্রকৃতির সন্তান। প্রকৃতিকে ইচ্ছামত বদলে – দেবার সর্বপ্রকার শক্তি মানুষের হাতে তুলে দিল প্রকৃতি-জননী।
পরিবেশ দূষণ :
মানুষ যুগে যুগে তার শক্তির সদ্ব্যবহার করছে। বন কেটে বসত গড়েছে। গ্রাম ভেঙে শহর গড়েছে। এক অতৃপ্ত লালসায় উদ্ধত মানুষ অধীর হয়ে নির্বিচারে মেতে উঠল প্রকৃতির সংহার লীলায়। পরিবেশ দূষণের সূত্রপাত এখান থেকেই। বন্যার তাণ্ডব, বিষ বাষ্পের ফলে মৃত্যু, দুরারােগ্য ব্যাধি ইত্যাদি মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে। মানুষের চারদিকে এখন মৃত্যুর হাতছানি। বাতাস দূষিত, জল দূষিত, শব্দ দূষিত।
দূষণের কারণ :
নানাপ্রকার রাসায়নিক পদার্থ অহরহ মিশে যাচ্ছে জলে, মাটিতে, খাদ্যে। ক্যানসার প্রভৃতি দুরারােগ্য ব্যাধি এর ফলে ক্রমশ বেড়ে যাচ্ছে। পারমাণবিক তেজস্ক্রিয় বাতাস বিষাক্ত করে দিচ্ছে। নির্বিচারে বৃক্ষচ্ছেদ ভূমিক্ষয় বাড়িয়ে দিচ্ছে, বাতাসে। প্রয়ােজনীয় অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যাচ্ছে। গাড়ি, মাইক্রোফোন, পটকা, বাজি, বােমার প্রচণ্ড শব্দ মানুষের হৃদযন্ত্র ও স্নায়ুমণ্ডলকে ক্রমাগত আঘাত করে তাকে বিকৃত ও বিকল করে দিচ্ছে। সভ্যতার অহংকারে মানুষ উন্মত্ত হয়ে উঠেছে। প্রতিকার ও পরিবেশ দূষণরােধে সকলেই সর্বত্র সরব হয়ে উঠেছে। সন্ধান করছে। দূষণরােধের পথ, অনিবার্য ধ্বংস থেকে পরিত্রাণের উপায়। পরিবেশ দূষণরােধ করতে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে অনেক পরিকল্পনা হয়েছে। তার মধ্যে প্রধান হল বৃক্ষরােপণ। আমাদের দেশ ভারতে বৃক্ষরােপণ পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন দেশ, বিশেষ করে ইউরােপের দেশগুলিতে পেট্রোল বা ডিজেলের পরিবর্তে পরিবেশ দূষিত হওয়ার সম্ভাবনা কম এমন জালানী ব্যবহার হচ্ছে। যানবাহন চলাচলের ব্যাপারে শব্দ দূষণও পরিবেশকে দূষিত। করছে। তাই সরকার এই দূষণ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বিশেষ ব্যবস্থাও গ্রহণ করেছেন।।
উপসংহারঃ
পরিবেশ দূষণের জন্য মানুষ অনেকাংশে দায়ী। তাই মানুষের মধ্যে পরিবেশ সম্বন্ধে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। প্রচার ও প্রদর্শনীর মাধ্যমে দূষণরােধে মানুষকে। অনুপ্রাণিত করতে হবে।।
Very Nice Article, Thanks for Sharing.
Very Nice Article, Thanks for Sharing